ekjon hojur manush 30 bochor boyose Dari chara kivabe chilo ? ei Delu sikder to 1971 mere fele, tar baper nam- Rosul sikder, Allama Delwar hossain Saiydeer Baper nam Yousuf Saiydee.. Eto mittha kivabe Sojjo kori ???Natik ra aj ei Sorojontro chaliye jasse..
আল্লামা সাঈদীর পরিচয়
রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য বা জামায়াত নেতা আল্ল্লামা সাঈদীর মূল পরিচয় নয়। জন্মভূমি বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে তাঁর পরিচয় তিনি পবিত্র কুরআনের খাদেম বা মুফাসসীরে কুরআন।
২০০৬ এর ৭ই অগাস্ট, লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা পত্রিকার ৪৭ পৃষ্ঠায় আল্ল্লামা সাঈদী সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাতে লেখা হয়েছে, 'পৃথিবীর প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষ বাংলাভাষায় কথা বলে। Watch the video
Quran prio Jonotha Shylet Saiydeer Muktir jonno Dua Michil
বাংলাভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে যিনি গত ৪০ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে কুরআনের দাওয়াত পৌঁছানোর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি হচ্ছেন আমাদের কালের একজন বড় মাপের কুরআনের পন্ডিত আল্ল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
শুধু বাংলাভাষা বা বাংলাদেশের কথাই বা বলি কেনো, আমাদের ইতিহাসে খুব কম মানব সন্তানই সুদীর্ঘ ৪ দশক ধরে এই অবিস্মরণীয় জনপ্রিয়তার শীর্ষদেশে অবস্থান করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করতে পেরেছেন। এদিক থেকৈ গোটা বিশ্ব পরিমন্ডলে আল্ল্লামা সাঈদী একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। মাঠে ময়দানে, পত্র পত্রিকায়, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে, রেডিও টেলিভিশনে এক সুদীর্ঘকাল ধরে সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কুরআনের তাফসীর পেশ করার ক্ষেত্রেও আল্ল্লামা সাঈদীর বিকল্প কোনো ব্যক্তি আজকের মুসলিম বিশ্বে আছে কিনা সন্দেহ।' লন্ডনের সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত এ লেখাটি আরো দীর্ঘ।
আল্ল্লামা সাঈদীর পবিত্র কুরআনের খেদমতের সাক্ষী ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের সবুজ শ্যামল এই বাংলাদেশ। তিনি চট্টগ্রামস্থ প্যারেড ময়দানে প্রতি বছর দীর্ঘ পাঁচদিন ব্যাপী তাফসীর করছেন ২৯ বছর যাবৎ। সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রসা মাঠে ৩১ বছর, ঢাকায় ৩৩ বছর। রাজশাহীতে ৩০ বছর, খুলনাতে ৩০ বছর। এ ছাড়াও বাংলাদেশের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে তিনি মাহফিল করেননি।
নিজ জন্মভূমি পিরোজপুরে যখন তিনি প্রবেশ করেন এখান কার হিন্দু-মুসলিম নর-নারী জাতিধর্ম- দলমত নির্বিশেষে তাঁর কাছ থেকে নসিহত শোনার জন্য, তাঁর কাছ থেকে দোয়া নেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষামান থাকেন। আল্লামা সাঈদীর এ আকাশ চুম্বী জনপ্রিয়তায় দিশেহারা তাঁর আদর্শিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তাই তাঁকে জনগণ থেকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী নানাবিধ অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
আল্লাহ তা'য়ালার অপরিসীম মেহেরবানীতে ষড়যন্ত্রকারীদেরসকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ। তার চাক্ষুষ প্রমাণ; যেখানেই আল্লামা সাঈদীর মাহফিল সেখানেই বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো জনতার ঢল, দেশে কি বিদেশে, এ দৃশ্য সমগ্র বিশ্বময়।
বিগত অক্টোবর ২০০৮ সালে দুবাইয়ের ন্যাশনাল ঈদ গ্রাউণ্ডে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হোলি কোরআন এ্যাওয়ার্ড কমিটি কর্তৃক আয়োজিত আল্লামা সাঈদীর বিশাল মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আরব আমিরাতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শায়খ মোহাম্মাদ বিন রাশেদ আল মাকতুম। মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এটি ছিলো উল্লেখযোগ্য গণজমায়েত। উপস্থিত অর্ধলক্ষাধিক দর্শক- শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিলো 'পবিত্র কোরআনের বিজ্ঞানময় মু'জিজা'। দুবাই সরকার তাঁর দুই ঘন্টার উক্ত বক্তব্য সিডি, ভিসিডি করে বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। অনুরূপ মাহফিল হলো সাউদী আরবের রাজধানী রিয়াদে। জেদ্দা, তায়েফ, দাম্মাম এবং পবিত্র মক্কা- মদীনায়।
একই ধরনের মাহফিল হলো গ্রীসের রাজধানী এথেন্স নগরীর আলেকজান্দ্রা ষ্টেডিয়ামে, ইটালীর রাজধানী রোমে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে, পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে, জার্মানীর রাজধানী ফ্রাঙ্কফুটে, জাপানের রাজধানী টোকিওতে, কোরিয়ার রাজধানী সিউলে, অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে, থাইল্যাণ্ডের রাজধানী ব্যাংককে, সিঙ্গাপুরে, ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং কুুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবগুলো দেশে।
আল্লামা সাঈদীর মাহফিলে অগণিত জনতার উপস্থিতির দৃশ্য সেসব দেশের টিভি চ্যানেলগুলোয় সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে। একই ধরনের মাহফিল হয়েছিলো আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের সামনে ৪২ নং সড়কে (এমলর্রহ ্রণডমভঢর্ ্ররণর্ণ) এবং আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনসহ উক্ত দেশের ২২টি অঙ্গরাজ্যে। ইউরোপের ইংল্যাণ্ডের রাজধানী লণ্ডনসহ গ্রেটবৃটেনের প্রায় সবগুলো শহরে তিনি বিগত ত্রিশ বছর ধরে মাহফিল করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি দেশে তিনি সফর করেছেন। এভাবে দক্ষিণ গোলার্ধের অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ণ ইউনিভার্সিটিতে,উত্তর গোলার্ধের কানাডার টরেন্টো ও মন্ট্রিয়েল ইউনিভার্সিটিসহ পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের অন্তত অর্ধশত দেশে তিনি মাহফিল করেছেন। ১৯৯১ সনে আমেরিকার পেনসিলভিনিয়া ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে মাওলানা সাঈদীকে 'আল্লামা' খেতাব প্রদান করা হয়।
'৮০ এবং ৯০ এর দশকে সাউদী বাদশাহ ফাহাদ বিন আব্দুল আযীয আল্লামা সাঈদীকে রাজকীয় মেহমান হিসেবে দুইবার হজ্জ করিয়েছেন। ১৯৯১ সনে ইরাক- কুয়েত যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মক্কা শরীফে একটি মিমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্বের চারশত স্কলারদের দাওয়াত দেয়া হয়; সাউদী বাদশাহ উক্ত বৈঠকেও আল্লামা সাঈদীকে রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে উপস্থিত রেখেছিলেন।
দেশে-বিদেশে ইসলামের পক্ষে সকল শ্রেণীর মানুষের অভূতপূর্ব এ গণজোয়ার দেখার পর থেকেই আল্লামা সাঈদীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইর্ষান্বিত হয়ে দেশী-বিদেশী মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগের ঝড় তোলে।
তাঁর বৈজ্ঞানিক যুক্তিভিত্তিক, তথ্য নির্ভর আকর্ষণীয় আলোচনায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর মাহফিলে পঙ্গপালের মতো ছুটে আসে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, জাতি-ধর্ম দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী ও পেশার অগণিত মানুষ। আল্লামা সাঈদীর মাহফিলে শুধু মুসলমানগণই অংশ গ্রহণ করে না, অসংখ্য অমুসলিম নারী পুরুষ তাঁর মাহফিলে অংশ গ্রহণ করে ইসলাম কবুল করেন। দেশে-বিদেশে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক অমুসলিম আল্লামা সাঈদীর হাতে ইসলাম কবুল করেছেন।
ইসলামী জীবনাদর্শ যাদের পছন্দ নয় বরং অসহ্য, তারাই দেশে-বিদেশে পরিচিত সমাদৃত ও শ্রদ্ধেয় আল্লামা সাঈদীকে জনবিচ্ছিন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে তাঁকে রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী ও সবশেষে যুদ্ধাপরাধী বানানোর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বহুমুখী ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অনুযায়ী প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মিথ্যা, বানোয়াট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব জঘন্য ষড়যন্ত্র মাকড়সার জালের মতো ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে ইন্শাআল্লাহ। দেশ প্রেমিক শন্তিকামী দ্বীন দরদী অসংখ্য মুসলিম নরনারী মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিনয়াবনতভাবে একাগ্রচিত্তে সে দোয়াই করছে।
আল্লামা সাঈদীর পরিচয়
রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য বা জামায়াত নেতা আল্ল্লামা সাঈদীর মূল পরিচয় নয়। জন্মভূমি বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে তাঁর পরিচয় তিনি পবিত্র কুরআনের খাদেম বা মুফাসসীরে কুরআন।
২০০৬ এর ৭ই অগাস্ট, লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা পত্রিকার ৪৭ পৃষ্ঠায় আল্ল্লামা সাঈদী সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাতে লেখা হয়েছে, 'পৃথিবীর প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষ বাংলাভাষায় কথা বলে। Watch the video
Quran prio Jonotha Shylet Saiydeer Muktir jonno Dua Michil
বাংলাভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে যিনি গত ৪০ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে কুরআনের দাওয়াত পৌঁছানোর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি হচ্ছেন আমাদের কালের একজন বড় মাপের কুরআনের পন্ডিত আল্ল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
শুধু বাংলাভাষা বা বাংলাদেশের কথাই বা বলি কেনো, আমাদের ইতিহাসে খুব কম মানব সন্তানই সুদীর্ঘ ৪ দশক ধরে এই অবিস্মরণীয় জনপ্রিয়তার শীর্ষদেশে অবস্থান করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করতে পেরেছেন। এদিক থেকৈ গোটা বিশ্ব পরিমন্ডলে আল্ল্লামা সাঈদী একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। মাঠে ময়দানে, পত্র পত্রিকায়, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে, রেডিও টেলিভিশনে এক সুদীর্ঘকাল ধরে সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কুরআনের তাফসীর পেশ করার ক্ষেত্রেও আল্ল্লামা সাঈদীর বিকল্প কোনো ব্যক্তি আজকের মুসলিম বিশ্বে আছে কিনা সন্দেহ।' লন্ডনের সাপ্তাহিক ইউরো বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত এ লেখাটি আরো দীর্ঘ।
আল্ল্লামা সাঈদীর পবিত্র কুরআনের খেদমতের সাক্ষী ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের সবুজ শ্যামল এই বাংলাদেশ। তিনি চট্টগ্রামস্থ প্যারেড ময়দানে প্রতি বছর দীর্ঘ পাঁচদিন ব্যাপী তাফসীর করছেন ২৯ বছর যাবৎ। সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রসা মাঠে ৩১ বছর, ঢাকায় ৩৩ বছর। রাজশাহীতে ৩০ বছর, খুলনাতে ৩০ বছর। এ ছাড়াও বাংলাদেশের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে তিনি মাহফিল করেননি।
নিজ জন্মভূমি পিরোজপুরে যখন তিনি প্রবেশ করেন এখান কার হিন্দু-মুসলিম নর-নারী জাতিধর্ম- দলমত নির্বিশেষে তাঁর কাছ থেকে নসিহত শোনার জন্য, তাঁর কাছ থেকে দোয়া নেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষামান থাকেন। আল্লামা সাঈদীর এ আকাশ চুম্বী জনপ্রিয়তায় দিশেহারা তাঁর আদর্শিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তাই তাঁকে জনগণ থেকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী নানাবিধ অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
আল্লাহ তা'য়ালার অপরিসীম মেহেরবানীতে ষড়যন্ত্রকারীদেরসকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ। তার চাক্ষুষ প্রমাণ; যেখানেই আল্লামা সাঈদীর মাহফিল সেখানেই বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো জনতার ঢল, দেশে কি বিদেশে, এ দৃশ্য সমগ্র বিশ্বময়।
বিগত অক্টোবর ২০০৮ সালে দুবাইয়ের ন্যাশনাল ঈদ গ্রাউণ্ডে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হোলি কোরআন এ্যাওয়ার্ড কমিটি কর্তৃক আয়োজিত আল্লামা সাঈদীর বিশাল মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আরব আমিরাতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শায়খ মোহাম্মাদ বিন রাশেদ আল মাকতুম। মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এটি ছিলো উল্লেখযোগ্য গণজমায়েত। উপস্থিত অর্ধলক্ষাধিক দর্শক- শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্যের বিষয় ছিলো 'পবিত্র কোরআনের বিজ্ঞানময় মু'জিজা'। দুবাই সরকার তাঁর দুই ঘন্টার উক্ত বক্তব্য সিডি, ভিসিডি করে বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। অনুরূপ মাহফিল হলো সাউদী আরবের রাজধানী রিয়াদে। জেদ্দা, তায়েফ, দাম্মাম এবং পবিত্র মক্কা- মদীনায়।
একই ধরনের মাহফিল হলো গ্রীসের রাজধানী এথেন্স নগরীর আলেকজান্দ্রা ষ্টেডিয়ামে, ইটালীর রাজধানী রোমে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে, পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে, জার্মানীর রাজধানী ফ্রাঙ্কফুটে, জাপানের রাজধানী টোকিওতে, কোরিয়ার রাজধানী সিউলে, অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে, থাইল্যাণ্ডের রাজধানী ব্যাংককে, সিঙ্গাপুরে, ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং কুুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবগুলো দেশে।
আল্লামা সাঈদীর মাহফিলে অগণিত জনতার উপস্থিতির দৃশ্য সেসব দেশের টিভি চ্যানেলগুলোয় সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে। একই ধরনের মাহফিল হয়েছিলো আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘের সামনে ৪২ নং সড়কে (এমলর্রহ ্রণডমভঢর্ ্ররণর্ণ) এবং আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনসহ উক্ত দেশের ২২টি অঙ্গরাজ্যে। ইউরোপের ইংল্যাণ্ডের রাজধানী লণ্ডনসহ গ্রেটবৃটেনের প্রায় সবগুলো শহরে তিনি বিগত ত্রিশ বছর ধরে মাহফিল করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি দেশে তিনি সফর করেছেন। এভাবে দক্ষিণ গোলার্ধের অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ণ ইউনিভার্সিটিতে,উত্তর গোলার্ধের কানাডার টরেন্টো ও মন্ট্রিয়েল ইউনিভার্সিটিসহ পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের অন্তত অর্ধশত দেশে তিনি মাহফিল করেছেন। ১৯৯১ সনে আমেরিকার পেনসিলভিনিয়া ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে মাওলানা সাঈদীকে 'আল্লামা' খেতাব প্রদান করা হয়।
'৮০ এবং ৯০ এর দশকে সাউদী বাদশাহ ফাহাদ বিন আব্দুল আযীয আল্লামা সাঈদীকে রাজকীয় মেহমান হিসেবে দুইবার হজ্জ করিয়েছেন। ১৯৯১ সনে ইরাক- কুয়েত যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মক্কা শরীফে একটি মিমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্বের চারশত স্কলারদের দাওয়াত দেয়া হয়; সাউদী বাদশাহ উক্ত বৈঠকেও আল্লামা সাঈদীকে রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে উপস্থিত রেখেছিলেন।
দেশে-বিদেশে ইসলামের পক্ষে সকল শ্রেণীর মানুষের অভূতপূর্ব এ গণজোয়ার দেখার পর থেকেই আল্লামা সাঈদীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইর্ষান্বিত হয়ে দেশী-বিদেশী মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগের ঝড় তোলে।
তাঁর বৈজ্ঞানিক যুক্তিভিত্তিক, তথ্য নির্ভর আকর্ষণীয় আলোচনায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর মাহফিলে পঙ্গপালের মতো ছুটে আসে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, জাতি-ধর্ম দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী ও পেশার অগণিত মানুষ। আল্লামা সাঈদীর মাহফিলে শুধু মুসলমানগণই অংশ গ্রহণ করে না, অসংখ্য অমুসলিম নারী পুরুষ তাঁর মাহফিলে অংশ গ্রহণ করে ইসলাম কবুল করেন। দেশে-বিদেশে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক অমুসলিম আল্লামা সাঈদীর হাতে ইসলাম কবুল করেছেন।
ইসলামী জীবনাদর্শ যাদের পছন্দ নয় বরং অসহ্য, তারাই দেশে-বিদেশে পরিচিত সমাদৃত ও শ্রদ্ধেয় আল্লামা সাঈদীকে জনবিচ্ছিন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে তাঁকে রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী ও সবশেষে যুদ্ধাপরাধী বানানোর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বহুমুখী ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অনুযায়ী প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মিথ্যা, বানোয়াট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব জঘন্য ষড়যন্ত্র মাকড়সার জালের মতো ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে ইন্শাআল্লাহ। দেশ প্রেমিক শন্তিকামী দ্বীন দরদী অসংখ্য মুসলিম নরনারী মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিনয়াবনতভাবে একাগ্রচিত্তে সে দোয়াই করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন