বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৩

সাঈদী নামে কোনো রাজাকার ছিল না, আজ ATN news নিউজ আউয়ারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবিভক্ত ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, যুক্তি সহকারে বললেন,

 সাঈদী  নামে  কোনো রাজাকার  ছিল  না, আজ  ATN news নিউজ  আউয়ারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবিভক্ত ঢাকার  মেয়র  সাদেক হোসেন খোকা, যুক্তি সহকারে বললেন,
এ টিন নিউজের   মুন্নী  সাহা  কে  পুরে  নাজেহাল  করে ছাড়লো...এই মহান  নেতা ,
https://www.facebook.com/photo.php?v=10200142411096518


Dr. Tuhin mallik   Saiydeer  case  ta  tritio  matrai  kivabe  toole  dhorlen  dekho...
https://www.facebook.com/photo.php?v=224680237677380 

সাঈদীকে যে দুটো মামলায় ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে দুটোই ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক !! আসুন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কি বলে দেখে নেই --

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যে দু’টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তার একটি হলো ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের এই অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ মে মাওলানা সাঈদীর নেতৃত্বে পাকিস্তান আর্মি ও শান্তি কমিটির লোকজন চিথলিয়া গ্রামে যায় এবং মানিক পসারীর বাড়ি লুট করে। এখানে পাঁচটি ঘর তারা কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় লুটপাটের পর। মানিক পসারীর বাড়ি থেকে ইব্রাহীম কুট্টি ও মফিজুল নামে দু’জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরা দু’জন মানিক পসারীর বাড়িতে কাজ করতেন। মাওলানা সাঈদী এদের দু’জনকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে পাড়েরহাট বাজারে নিয়ে যান তার লোকজনের সহায়তায়। এরপর মাওলানা সাঈদীর নির্দেশে পাড়েরহাট বাজারে ব্রিজের কাছে পাকিস্তান আর্মি ইব্রাহীম কুট্টিকে গুলি করে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। মফিজউদ্দিনকে আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পর সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ অভিযোগের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের বেশ কয়েকজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। যে বাড়িতে তারা কাজ করতেন সেই বাড়ির ছেলে মানিক পসারী এবং পালিয়ে আসা মফিজও সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, মফিজ এ ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। এ ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে মাওলানা সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ইব্রাহীমের স্ত্রী মমতাজ বেগমের মামলায় যা উল্লেখ আছে -

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম তার স্বামী ও ভাই সাহেব আলী হত্যার বিচার চেয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলার এজাহারে মমতাজ বেগম উল্লেখ করেছিলেন, তার স্বামী ইব্রাহীম কুট্টি বাপের বাড়ি নলবুনিয়া থাকা অবস্থায় শান্তি কমিটির লোকজন এবং পাকিস্তান আর্মি তাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটে ১৯৭১ সালের ১ অক্টোবর। ওই ঘটনার সময় তাদের বাড়ি থেকে তার ভাই সাহেব আলী ও মা সিতারা বেগমকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পিরোজপুর। পরে মাকে ছেড়ে দেয়া হলেও ভাই সাহেব আলীকে ছাড়া হয়নি। তাকে পাকিস্তান আর্মি গুলি করে হত্যা করে। মমতাজ বেগম সে মামলায় ১৩ জনকে আসামি করেছেন, তবে সে আসামির তালিকায় মাওলানায় সাঈদীর নাম নেই।

মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা মমতাজ বেগমের মামলার এজাহার ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে বলেন, ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা করা হয় নলবুনিয়ায়, পাড়েরহাটে নয়। হত্যার তারিখও ভিন্ন। রাষ্ট্রপক্ষের দাবি ৮ মে। আর মমতাজ বেগমের এজাহারে উল্লেখ রয়েছে ১ অক্টোবর। তা ছাড়া মমতাজ বেগম তখন যে ১৩ জনকে আসামি করেন, সেখানে মাওলানা সাঈদীর নাম নেই। কাজেই মাওলানা সাঈদী কোনো অবস্থাতেই এ ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেন আইনজীবীরা।

সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহরণ !!

সুখরঞ্জন বালী নামে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষের একজন সাক্ষীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহরণ করে ডিবি পুলিশের লোকজন। তিনি ছিলেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের তালিকাভুক্ত সাক্ষী। ৫ নভেম্বর সোমবার তিনি এসেছিলেন ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে। সাক্ষ্য দিতে আসার সময় ট্রাইব্যুনালের প্রবেশপথে তাকে ডিবি পুলিশের লোকজন ধরে নিয়ে যায়। মাওলানা সাঈদী পক্ষের আইনজীবীরা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সাক্ষীকে ধরে নিয়ে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় তাকে থাপ্পড় মেরেছে ডিবি পুলিশের লোকজন। সুখরঞ্জন বালী রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন। তিনি এবং আরেক সাক্ষী গণেশচন্দ্র সাহাকে আসামিপক্ষের সাক্ষী হিসেবে হাজিরের জন্য সমন জারির আবেদন করেছিলেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী। এ বিষয়ে আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন আপনারা যাকে খুশি সাক্ষী হিসেবে আনতে পারেন তবে সমন জারি করা হবে না। এরপর গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী গণেশচন্দ্রকে হাজির করে আসামিপক্ষ তিনি মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন। সুখরঞ্জন বালী বিষয়ে আজ আদেশের সময় ট্রাইব্যুনাল তাকে আসামিপক্ষের সাক্ষী উল্লেখ করেননি। মিজানুল ইসলাম বলেন তিনি এখন আমাদের মানে আসামিপক্ষের সাক্ষী। তাকে সে হিসেবে উল্লেখ করা হোক। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করেননি। তিনি বলেন কারণ ট্রাইব্যুনাল বলেছেন তাদের নির্দেশেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন